কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় - নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এটি কি আপনি জানতে চান? মানুষ যদি চাই তাহলে যেকোনো কিছু করতে পারে। আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। আর আজকে আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় বা নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় সম্পর্কে জানবেন।
যে কেউ চাইলেই সহজেই নিজেকে পরিবর্তন করা যায়। তবে কেউ কেউ এটিকে সহজ ভাবে নিতে পারে না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারী হতে চলেছে। কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় তার বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।
সূচিপত্র: কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় - নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
ইভিভিটিভি
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়
আপনি নিজেই আপনাকে পরিবর্তন করার অস্ত্র। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে আপনি চাইলেই সহজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য প্রথমেই আপনার মন পরিবর্তন করতে হবে। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার আচরণ সকল কিছু চেঞ্জ করতে হবে।
এছাড়াও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। বিশ্বাস জিনিসটা সবথেকে বড় নিজেকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে। আপনার যদি বিশ্বাস থাকে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন তাহলে আপনি পারবেন। নিজেকে হুট করে চেঞ্জ বা পরিবর্তন করে নেওয়া যায় না তবে এটির প্রভাব আস্তে আস্তে পড়ে।
নিজেকে দীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রকৃতির নিয়মে চলতে হবে। তবে নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়টিকে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন কোন বিষয়গুলো আপনার মধ্যে রাখলে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন
আমরা উপরে যেমনটা বলেছি আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। তবে বিশ্বাসটা অবশ্যই যদি চুল পরিমান হয় তারপরেও আপনাকে তবে বিশ্বাসটা যদি আপনার চুল পরিমানও থাকে তারপরেও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : কুয়েতের ভিসা কত টাকা লাগে
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য বিশ্বাস সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনার যদি বিশ্বাস না থাকে আপনি যদি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে নিজেকে পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। আর এই বিশ্বাসটা আসে নিজের ভেতর থেকে আর আপনি বিশ্বাস করুন আপনি পারবেন। কারণ মানুষ পারে না এমন কোন কিছুই নেই মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছুই পারে। তাই আপনি না ভেবেই চেষ্টা করুন দেখবেন আপনি ঠিকই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
অন্য ব্যক্তিদের অনুসরণ করুন
এখানে আমি অন্য ব্যক্তির অনুসরণ করুন কথাটি বলেছি এর মানে ওই নয় যে আপনি যে কাউকে অনুসরণ করবেন। এখানে আপনাকে অবশ্যই রাখতে হবে আপনি যেরকম নিজেকে দেখতে চাচ্ছেন আগামীতে যেরকম ভাবে নিজেকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন ঠিক তাদেরকেই অনুসরণ করবেন। যেমন আপনি যদি আগামীতে এলন মার্কস এর মত নিজেকে দেখতে চান।
তাহলে আপনি তাকে অনুসরণ করুন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কারণ আপনি তাদেরকে তো বাস্তবে অনুসরণ করতে পারবেন না তাই আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদেরকে অনুসরণ করতে পারেন। যেমন তারা কি করছে কি খাবার খাচ্ছে কোন পোশাকটি পড়তেছে কত সময় কাজ করছে ইত্যাদি সকল কিছু কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায়।
আপনার এখন বর্তমান অবস্থায় যে অবস্থান আছেন এই অবস্থানে যদি আপনার কোন ফালতু কোন বন্ধু-বান্ধব থাকে অথবা আপনি তাদের সঙ্গে চলাফেরা ঘোরাঘুরি কথাবার্তা বলেন তাহলে সর্বপ্রথম তাদের সঙ্গে এসব করা কমাতে হবে। এবং আপনি যাদের মতন হতে চাচ্ছেন, এক কথায় ভালো বন্ধুবান্ধবদের অনুসরণ করুন।
অনলাইন জগতে ফালতু জিনিস দেখা বন্ধ করুন
আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে দ্বিতীয় তো আপনাকে অনলাইনে ফালতু জিনিস দেখা বন্ধ করতে হবে। এখানে ফালতু জিনিস বলতে বোঝানো হয়েছে অপ্রয়োজনীয় কিছু ভিডিও অপ্রয়োজনীয় কিছু পোস্ট বা অপ্রয়োজনীয় ভাবে ফেসবুকে অথবা
সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটানো আপনাকে বন্ধ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ডিভাইসে কিছু ফালতু অ্যাপস যেই অ্যাপসগুলোতে শুধুমাত্র ভিডিও ফানি ভিডিও আপলোড করা হয় সে এপস গুলো ডিলিট করে দিন।
কারণ আপনি যখন এইসব ভিডিও দেখবেন তখন কিন্তু এখান থেকে কিছু শিখতে পারবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন অন্যদের থেকে কিছু শেখার দেখবেন আরো অন্যরা , যাদের মত হতে চান তারা কি কি করছে তাদেরকে অবশ্যই আপনি দেখবেন।
তাদের মতন করার চেষ্টা করুন তাদের মতন জামা কাপড় তাদের মতন পোশাক পড়ার চেষ্টা করুন। কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এই বিষয়ে আরো অনেক উপায় রয়েছে যাতে করে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন।
সময় অপচয় বন্ধ কর
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য সবথেকে বেশি যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল সময় অপচয় বন্ধ করা। আপনি যদি সময় অপচয় করেন বিভিন্ন অপ্রিয় জিনিসের উপর যেমন ভিডিও দেখা ফোন ব্যবহার করা এগুলোতে যদি আপনি আপনার মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করেন তাহলে কিন্তু নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন না।
আপনি যদি মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে থাকেন বা কোন ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এগুলো বন্ধ করতে হবে। সময়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আপনি সময়কে যত গুরুত্ব দিবেন আপনি নিজেকে তত পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য কোন কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করুন ভালো কাজে সময় ব্যয় করুন তাহলে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
কোন কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন অথবা কোন একটি কাজ করেন কিন্তু ঠিক মতন কাজ করা হয় না তাহলে আপনি সেই কাজে নিজেকে এতটাই ব্যস্ত রাখুন যতটা ব্যস্ত রাখলে আপনি অন্য কোন কথা ভাবতে পারবেন না।
আর যখন আপনি নিজেকে কোন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকবেন তখন কিন্তু অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যেগুলো আপনি যখন কাজ করেন না তখন মাথায় আসে সেই অপ্রিয় জিনিসগুলো কিন্তু আপনার ব্রেনে আসবেনা এবং আপনার চিন্তা ভাবনাও হবে না।
যদি আপনার মাথায় এসব প্রয়োজনে চিন্তা না আসে তাহলে কিন্তু আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি যে কাজই করেন না কেন সেটা ছোট হোক অথবা বড় আপনি কে সেই কাজের মধ্যে মগ্ন থাকতে হবে
তাহলে দেখবেন আপনার যদি কোন দুঃখ কষ্ট থাকে অথবা অন্যান্য কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলো দূর হবে প্লাস আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারছেন। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অবশ্যই কোন কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য নিজের যত্ন নিন
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এই প্রশ্নের উত্তরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য নিজের যত্ন নিন। কারণ আপনি যদি আপনার যত্ন না নেন নিজেকে ভালো না বাসেন নিজেকে সময় দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি নিজেকে কখনোই পরিবর্তন করতে পারবেন না।
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিজের পরিবর্তনটা আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিজের প্রতি ভালোবাসাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের যত্নের মধ্যে পড়ে নিয়মিত ব্যায়াম করা এক কথায় শরীর চর্চা করা এছাড়াও খাওয়া-দাওয়া ঠিক রাখা আপনার শরীরকে রেস্ট দেওয়া।
এছাড়াও প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম। ঘুম আপনার কিন্তু খুবই প্রয়োজন আপনি যদি বেশি সময় না ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন সময় মতন ঘুমান। আপনি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাবেন তখন আপনার ব্রেন কিন্তু ভালোভাবে কাজ করবে। এতে করে নিজেকে পরিবর্তন করা খুবই সহজ হয়ে যাবে।
কিন্তু আপনি যখন নিয়মিত বা পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাবেন না তখন কিন্তু আপনার ব্রেন ততটা কাজ করবেন না এবং আপনি শারীরিক এবং মানসিক এই দুইটি দিক দিয়েই কিন্তু অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই আপনি যতটুকু পারেন নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য নিজের যত্ন নিন নিজেকে ভালবাসুন।
ফ্রী সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো
আপনি যখন ফ্রি থাকবেন তখন আপনি অবশ্যই আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। ফ্রি সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম। অবশ্যই আপনি যেমন হন না কেন আপনার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে আপনাকে মিশতে হবে তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে তাদেরকে ভালবাসতে হবে।
আপনি নিজেকে যতটাই পরিবর্তন করেন না কেন আপনি কখনোই আপনার পরিবারকে দূরে সরে দিবেন না। আপনি যদি দূরে কোথাও থাকেন পরিবারের থেকে দূরে তাহলে আপনি বর্তমানে অনলাইনের যুগ তাই আপনি তাদের সাথে অনলাইনের যোগাযোগ করুন তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলুন তবে পর্যাপ্ত পরিমাণের বেশি কথা বলা যাবে না।
অন্যদেরকে ভালবাসুন শত্রুদের ক্ষমা করুন
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এই ধাপে কিন্তু অন্যদেরকে ভালবাসুন অন্য শত্রুদের ক্ষমা করুন এই পয়েন্টটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রশ্ন আপনার আসতে পারে আপনি কেন আপনার শত্রুকে ক্ষমা করবেন বা অন্যদেরকে কেন ভালবাসবেন। দেখুন আপনি যদি এই বিষয়টি করতে না পারেন তাহলে নিজেকে কখনোই পরিবর্তন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন : ১ রুমের বাসা ভাড়া ঢাকা বিস্তারিত
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অবশ্যই অন্যদেরকে ভালবাসুন শত্রুদের ক্ষমা করুন। কেউ যদি আপনার একটি গালে চড় মারে তাহলে আপনি তাকে অন্য গাল পাতিয়া দিন (যীশু)। শত্রুদেরকে ভালোবাসার জন্য বাইবেল খুব ভালোভাবে শিক্ষা দিয়েছে বাইবেল অনুযায়ী যীশু বলেছেন “তোমার তোমাদের শত্রুদের ভালোবাসো এবং যারা তোমাদের অত্যাচার করে, তোমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করো।”
এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন কেউ যদি তোমার ডান গালে চড় মারে, তোমার অন্য গান ও তার দিকে বাড়িয়ে দাও। বাইবেলের এই শিক্ষা সত্যিই দারুণ। আমি ইমন বাস্কে আমি নিজেই এটি অনুসরণ করি এবং আমি নিজেকে অনেকটাই পরিবর্তন করতে পেরেছি।
আপনি যদি অন্যান্য ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে একবারের যিশু কে গ্রহণ করুন এবং তার সকল কথা অনুসরণ করুন দেখবেন নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য বাইবেল পাঠ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এরকম আরো অনেক ভালো ভালো কথা নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য আপনি সেখানে পাবেন। অন্যদেরকে ভালবাসুন শত্রুদের ক্ষমা করুন এই বিষয়টি কিন্তু খুব গুরুত্ব দিয়ে বাইবেলে দেওয়া আছে।
এখন যে অভ্যাসগুলো রয়েছে সে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন
আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার এখন যে অভ্যাসগুলো রয়েছে সেই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন। যেমন আপনি যদি বেশি ঘুমান তাহলে আপনি অতিরিক্ত ঘুমা বন্ধ করুন। এছাড়াও আপনি যদি বেশি হাঁটাচলা অথবা সারাদিন বাইরে থাকার অভ্যাস থাকলে ঘোরাঘুরি করার অভ্যাস থাকে তাহলে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি বন্ধ করুন।
বড়দের সম্মান করুন
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বড়দের সম্মান করা। আপনি যদি রাস্তাঘাটে অথবা যে কোন সময় আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন অথবা দেখা হয় তাহলে বড়দের সম্মান করুন তাদের সঙ্গে সম্মানের সহিত কথা বলুন।
সব সময় ভালো ব্যবহার করবেন। কারণ ভালো ব্যবহার করলে আপনি তাদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন এবং এভাবেই আস্তে আস্তে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। আর আপনি এই ভালোবাসা এই সম্মানগুলো কখনই টাকা দিয়ে কিনে পাবেন না বড়দের সম্মান করুন তাহলে আপনি এই ভালোবাসা এবং সম্মান দুটোই পাবেন প্লাস এই দুটির মাধ্যমেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় আমরা উপরে এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান বা নিজেকে অন্য জায়গায় দেখতে চান তাহলে উপরের সকল কাজগুলো করুন। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য আমরা উপরে যে সকল হেডিং যুক্ত করেছি যে সকল উপায় আপনাকে পড়ে দিয়েছি আপনি যদি সে সকল উপায় অবলম্বন করেন তাহলে নিজেকে খুব সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : কিভাবে ব্যাংক এশিয়া পার্সোনাল লোন পাবেন
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলোর মধ্যে আরও বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে সেগুলো নিজে আলোচনা করা হলো।
নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যদি এখন যে অবস্থায় রয়েছেন সেই অবস্থাই কোন কাজকর্ম করে থাকেন অথবা আপনার ব্যবহার আপনার আচার-আচরণ আপনার সময় কাটানো এক কথায় আপনার সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সব কিছু বাদ দিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ধৈর্য ধরুন
আপনি নিজেকে যদি সঠিক ভাবে পরিবর্তন করতে চান বা আপনি যতদূর কল্পনা করেছেন শতদূর নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে আপনি কোন কিছুতেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। সেটা হোক নিজেকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে অথবা যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে। তাই আপনি যত নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে ধৈর্য ধরুন।
অলসতা দূর করুন
আপনি যদি একটু অলস টাইপের হয়ে থাকেন কোন কিছু করতে ভালো না লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রথমেই এই অলসতা দূর করতে হবে। যেমন আপনি সারাদিন শুয়ে থাকেন অথবা সারাদিন ফোন টিপেন তাহলে আপনার এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
আর এই অভ্যাসগুলোর কারণে আপনি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছেন। আপনি যদি আপনাকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অলসতা দূর করতে হবে। আর এটা আপনি নিজেই পড়বেন। আপনার মনে শক্তি থাকতে হবে।
জেদ তৈরি করুন
আপনি নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য মন স্থির করুন এরপর জেদ তৈরি করুন যে আপনি পারবেন আপনাকে পরিবর্তন করতে। যেমন আপনার মধ্যে যদি অলসতা থাকে সেক্ষেত্রে সেই অলসতা কে দূর করার জন্য আপনি জেদ ধরতে পারেন।
যেমন আপনি অলসতা করেন সেই অলসতা কে দূর করার জন্য আপনি একটি জেদ ধরেছেন আপনি সেই অলসতা কে দূর করবেন এটা হল একটা জেদ। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য এই জেদ ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
নিজেই নিজেকে মোটিভেট করুন
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এই প্রশ্নের উত্তরই সবথেকে বেশি যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল নিজেকেই নিজেকে মোটিভেট করা। আপনি যদি অনলাইনে অথবা অন্যান্য জায়গা থেকে মোটিভেট নেওয়ার চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি নিজেকেই যতোটুকু পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন ঠিক ততটুকু পরিবর্তন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন : ফুটবল গেম ডাউনলোড কিভাবে করবো
আর একবার যখন আপনি নিজেই নিজেকে মোটিভেট করতে পারবেন তখন কিন্তু আপনি নিজেকে যতটুকু পরিবর্তন করতে চান ততটুকুই পরিবর্তন করতে পারবেন। আমি নিজেই নিজেকে মোটিভেট করি এই কারণে আজকে আমি অনেকটাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পেরেছি।
আর আমি চাইলে কিন্তু যে কোন সময় নিজেকে যে কোন রূপে পরিবর্তন করতে পারি কারণ নিজেই নিজেকে মোটিভেট করার ক্ষমতাটুকু আমার আছে। আর এই ক্ষমতাটুকু সবারই থাকে আপনি হয়তো ভাবছেন নিজেই নিজেকে মোটিভেট করার ক্ষমতা আপনার নেই।
কিন্তু আপনি আপনার সম্পর্কে ধারণা রাখেননি এই কারণে এই কথা বলছেন। ঈশ্বর আমাদেরকে সবাইকে নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য নিজেকে মোটিভেট করার জন্য জ্ঞান বা মন দিয়েছেন। তাই আমি যদি পারি তাই আপনিও পারবেন নিজেকে মোটিভেট করে নিজেকে পরিবর্তন করতে। নিজেকে পরিবর্তন করতে অবশ্যই নিজেই নিজেকে মোটেভেট করুন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি যদি আপনাকে পরিবর্তন করতে চান।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলা কমানো
আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলা কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভিডিও কলে থাকবেন কথা বলবেন অথবা মেসেজ টেক্সট করবেন তখন কিন্তু আপনার সময় এখানে অনেকটাই অপচয় হয়। আর ঠিক তখনই আপনার মন মানসিকতা অন্যদিকে পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন : সাইন আপ বোনাস 500 টাকা পাওয়ার উপায়
তখন আপনি আপনাকে পরিবর্তন করতেই পারবেন না, আপনার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে এক কথায় ভার্চুয়ালি যোগাযোগ কমিয়ে দিন। হ্যাঁ যোগাযোগ করুন তবে নির্দিষ্ট কোন ফ্রী সময়ে।
আমাদের পরামর্শ
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় বা নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় আমরা উপরে সমস্ত কিছু ভালো করে উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আমরা ধাপে ধাপে বুঝেছি আপনাকে কি করা প্রয়োজন। তবে অবশ্যই আপনার উচিত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়া।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন এখান থেকে অনেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন আর এই সকল উপায়গুলো দিয়ে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য উপরোক্ত যে উপায় গুলি আমরা বলেছি সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে হয়তো আপনাকে এই উপায় গুলো অন্য কোথাও বলা হয়নি। এই উপায় গুলি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেলেছে।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url