কুরআনের বিষয়বস্তু - কুরআনের সংকলন

কুরআনের বিষয়বস্তু এবং কুরআনের সংকলন সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় উপস্থিত হয়েছেন। আপনি হয়তো জানেন ইসলাম ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হলো কুরআন। কুরআনের বিষয়বস্তু এবং কুরআনের সংকলন সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি কুরআনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পড়তে থাকুন।
কুরআনের বিষয়বস্তু ক

আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন এবং কুরআনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে না জেনে থাকেন এবং কুরআনের সংকলন সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সূচিপত্র

ভূমিকা

ইসলাম মানবজাতির স্বাভাবিক ও সর্বজনীন ধর্ম। ইসলামের মূল উৎস হলো পবিত্র কুরআন। ইসলামী জীবন বিধানের প্রথম ও প্রধান উৎস কুরআন, দ্বিতীয় উৎস হাদিস এবং তৃতীয় উৎস ইজতিহাদ বলে মনে করা হয়। আল্লাহর আদেশে ফেরেশতা কুলের শিরোমনি জিব্রাইল ( আঃ )- এর মারফত হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) - এরা নিকট প্রেরিত আল্লাহর বাণীতে সংকলনই মহাগ্রন্থ- কুরআন।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ঃ " নিশ্চিত এটা (কুরআন) তো সারা বিশ্বের প্রতিপালকের একটি থেকে অবতীর্ণ। বিশ্বস্ত আত্মা (জিব্রাইল) একে নিয়ে অবতরণ করেছেন। আপনার অন্তরের, যেন আপনি ভয় প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন। সুস্পষ্ট আরবি ভাষা। আর নিশ্চয় এর (কুরআনের) উল্লেখ আছে পূর্বসূরীদের কিতাবসমূহে" ( ২৬: ১৯২ - ১৯৬ )। বিশ্বের মানবজাতির পর প্রদর্শক হিসেবে কুরআন নাযিল হয়েছে। তাই আজকে আমরা কুরআনের বিষয়বস্তু এবং কোরআনের সংকলন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানবো। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

কুরআনের বিষয়বস্তু

কুরআনের বিষয়বস্তু
পবিত্র কুরআন ১৪৪ সুরা-য়া (Chapters) বিভক্ত। কতিপয়ী সূরা অতিশয় বড় এবং কতিপয় সূরা অতিশয় ছোট। কুরআনের শেষ পাঁয়ত্রিশটি সূরা ব্যতীত অবশিষ্ট সব সূরা রুকু-তে (Sections) বিভক্ত। প্রতিটা রুকু আবার কতিপয় আয়াত-এ (verses) বিভক্ত। `বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' আয়াত বাদে কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা ৬,২৪০ (মতান্তরে ' বিসমিল্লাহির রহমানের রহীম' আয়াতসহ ৬,৬৬৬ )। 

আয়াতের সংখ্যার ব্যাপারে এ মতানৈক্যের কারণ ব্যাখ্যা বা ব্যাখ্যাংশ সম্বন্ধে মতের ভিন্নতা কোন আয়াতকে অস্বীকার করা নয়। আবার, আবৃত্তির উদ্দেশ্যে কুরআনের ত্রিশটি সমানভাবে বিভক্ত। আর এর এক একটি ভাগ্যে যুুজ বা পারা বা সিপারা বলা হয়।

মানবজাতির ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক এমন কোন দিক নেই, যার উল্লেখ পবিত্র কুরআনে নেই। ধর্মের সব নীতির উপরে কুরআন আলোকপাত করেছে। আল্লাহর অস্তিত্ব, আল্লাহর একত্ব, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ভালো মন্দের বিচার, বেহশত ও দোযখ, ল ও পরকালের মঙ্গলের জন্য আদর্শ জীবন যাপনের আদেশ নির্দেশ সবকিছুই কুরআনে বিবৃতি হয়েছে। মানব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কুরআনের বিভিন্ন স্থানে উপদেশ ও নির্দেশ আকারে দেওয়া হয়েছে। কুরআনের বিষয়বস্তুকে সাধারণত ছয়টি শিরোনামে বিভক্ত করা যায় :
  1. অধিবিদ্যক ও অমূর্ত
  2. ধর্মতাত্ত্বিক
  3. নৈতিক
  4. মরমী
  5. ধর্মীয় আচার-আচরণ সংক্রান্ত ও আইন সংক্রান্ত
  6. ঐতিহাসিক
পবিত্র কুরআনের সূরা গুলো মক্কী ও মদীনা এই দুই নামে বিভক্ত। মক্কী সূরাগুলো সাধারণত খুবই ছোট এবং ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশিত। এই সূরাগুলোতে আল্লাহর একাকীত্ব, আল্লাহর মহত্ব, পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণের কাহিনী, প্রাকৃতিক বস্তু ইত্যাদি বর্ণনা রয়েছে। তাছাড়া, এই সূরা গুলোতে মূর্তিপূজা পরিহার, পুণ্যবানদের জন্য বেহেশত এবং পাপীদের জন্য দোযখের উল্লেখ রয়েছে।

মাদানী সূরাগুলো সাধারণত আকারে বেশ বড় এবং দীর্ঘতর বাক্যে প্রকাশিত। এই সুরাগুলো একই বিষয়ের উল্লেখ করলেও খুবই বিস্তৃত আকারে তা উল্লেখ করে। তাছাড়া, এই সূরা গুলোতে সাধারণত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে : দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইন, নামায, রোযা, যাকাত, ইজ্জ ইত্যাদি ধর্মীয় আচর-অনুষ্ঠানের নির্দেশ, নৈতিক নিয়ম, সামাজিক সংস্কার, মোনাফেকী বা কপটতার সমালোচনা ও নিন্দা, ইসলাম ধর্মের উদ্দেশ্যের সমর্থনের জন্য প্রেরণা দান, ইসলামের মৌলিক নীতির উল্লেখ সহ বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ।

কুরআনের সংকলন

কুরআনের সংকলন
হযরত মুহাম্মদ (সঃ )-এর ৪০ বৎসর বয়সে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ (নাযিল) হওয়া শুরু হয়। এক রাত্রিতে হযরত মুহাম্মদ (সঃ ) যখন হিরাগণতে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন, তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ ) তার কাছে হাযির হয়ে বলতে শুরু করলেন : " পড়ুন।" তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ) উত্তর দিলেন, " আমি তো পড়তে শিখি নাই।" তখন জিব্রাইল (আঃ ) তাকে বক্ষে সজোরে আলিঙ্গন করিলেন এবং এভাবে তিনি তাকে তিনবার বক্ষে সজোরে আলিঙ্গন করলেন।

এরপর জিব্রাইল (আঃ ) বললেন, " পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন; সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহা দয়ালু; যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন; শিক্ষা দিয়েছেন মানুষ যা সে জানতো না" ( ইক্করী বিস্মিরাব্বিকাল্লুযী-খালাক্কা। খালাক্কাল্ ইন্‌সা-না মিন 'আলাক্কা। ইক্কারা ওয়া রাব্বুকাল্‌আক্ রামুল্লাযী আল্লামা বি্‌ল ক্কালাম। আল্লামাল্ ইন্‌সা-না মা-লাম্ ইয়ালাম্) ( ৯৬-১-৫)।


আর এটাই হলো আল্লাহর নিকট থেকে জিব্রাইল (আঃ ) এর মারফত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ )- এর কাছ থেকে প্রত্যাদেশ (revelation)। এভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ) এর নিকট কুরআন প্রথম অবতীর্ণ হয় এবং তিনি 40 বছর বয়সে নবুয়্যত প্রাপ্ত হয়।

পবিত্র কুরআনে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ আছে : " এমন ভাবে আমি আরবি ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহ্‌ ভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়" (২০ : ১১৩)।

" নিশ্চিত আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ (কুরআন) নাযিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক" (ইন্না - নাহ্‌নু নাযযানায্‌- যিক্‌রা ওয়া ইন্না - লাহু লাহা - ফিযু - না) (১৫:৯)।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর ইনতিকালের পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ তেইশ বছর সমগ্র কুরআন বিভিন্ন অংশে ক্রমে তার কাছে অবতীর্ণ হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জীবনের শেষ পর্যায়ে বিদায় হজ্জের পর শেষ প্রত্যাদেশ তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়।পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে : "আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম মনোনীত করে দিলাম। " (৫:৩)

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর কাছে যখন কোরআনের অংশবিশেষ বা প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হতো, তখন তিনি তার সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করার বন্দোবস্ত করতেন। কুরআনের এসব আয়াত বিভিন্ন পত্র, পাথর, কাগজের টুকরা, মাটির পাত্র, কাঠের টুকরা ও উটের ঘাড়ের হাড়ের উপর লিখে রাখা হতো।

তাছাড়া, মহানবীর নির্দেশে সাহাবারা আয়াতে নাযিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুখস্থ করে রাখতেন। মহানবী সব সময় সব অবস্থায় লেখনী ও লেখনী সামগ্রি-সহ প্রস্তুতথাকার জন্য লেখকদের উৎসাহিত করতেন এবং তারা কুরআনের আয়াত লিখে রাখতেন। এই ব্যাপারে তিনি খুবই সজাগ ছিলেন। এই প্রত্যাদেশ লেখার জন্য প্রায় বিয়াল্লিশ জন লেখকের নাম পাওয়া যায়।

মক্কায় প্রথমদিকে বিবি খাদিজা (রাঃ), হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত আলী (রাঃ) এবং অন্যরা কুরআন সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মদীনাতে যায়েদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যাদেশ লিখে রাখতেন। তাছাড়া, হযরত ওমর (রাঃ) হযরত উসমান (রাঃ), জুবায়ের, হানযালা, খালিদ, আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ প্রমুখেরা কুরআন সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

কুরআন অংশে অংশে মহানবীর নিকট অবতীর্ণ হলেও তিনি আল্লাহর নির্দেশনায় যথাস্থানে সেগুলোকে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এই ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে :

"আর কাফেররা বলে যে, তার প্রতি সমগ্র কুরআন এক দফায় অবতীর্ণ হলো না কেন? আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি যে, এর দ্বারা আমি আপনার অন্তরকে মজবুত করব; আর আমি এটি ক্রমে ক্রমে অবতারণ করেছি। তারা আপনার কাছে কোন সমস্যা উপস্থাপিত করলেই আমি আপনাকে তার সঠিক উত্তর ও সুন্দর বাখ্যা দান করি। যাদেরকে মুখ থুবরে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে নিকৃষ্ট এবং তারাই পথভ্রষ্ট" (২৫:৩২ - ৩৪)।


"আর আমি কুরআনকে এজন্য ভাগ করেছি যে, লোকের নিকট আপনি একে থেমে থেমে পড়বেন এবং আমি একে ক্রমে ক্রমে নাযিল করেছি" ( ১৭: ১০৬)।

মহানবীর জীবদ্দশায় সমগ্র কুরআন সংকলন করা সম্ভব ছিল না, কেননা মহানবীর নিকট তখনও কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। ফলে মহানবীর ইন্তেকালের পরেই কেবল সম্পূর্ণ কুরআন সংকলন করা সম্ভব ছিল। তবে মহানবীর জীবদ্দশায় শাহাবাগণের মধ্যে যাঁরা কুরআন মুখস্থ রাখতেন, তাদেরকে হাফিয বলা হতো। তাছাড়া, যারা কুরআনের আয়াত লিখতেন, তাঁরাও মহানবীর তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিকভাবে তা সংরক্ষণ করতেন।

খলিফা আবু বক্কর ( রাঃ )- এর সময়ে ইয়ামামার যুদ্ধে বহু হাফিযা শহীদ হন। আর এতে ভীত হয়ে হযরত আবু বক্কর (রাঃ)- এর সময়ে বিভিন্ন সাহাবার নিকট সংরক্ষিত কুরআন শরীফের ব্যক্তিগত সংকলনের সঙ্গে হাফিযগনরে স্মৃতিতে সংরক্ষিত কুরআনের বিন্যাস মিলিয়ে সমগ্র কুরআনের একটি প্রামাণ্য পান্ডুলিপি তৈরি করা হয়। আর এটি পবিত্র কুরআনের প্রথম প্রামাণ্য পাণ্ডুলিপি।

হযরত আবু বক্কর (রাঃ)- এর ইন্তেকালের পর কুরআন হযরত ওমর (রাঃ)- এর নিকট গচ্ছিত ছিল। হযরত ওমর (রাঃ)- এর ইন্তেকালের পর এটি হযরত হাফসা (রাঃ)-র নিকট গচ্ছিত ছিল। হযরত উসমান (রাঃ)-এর সময়ে যখন কতগুলো স্থানে কুরআনের আবৃত্তির মধ্যে তারতম্য দেখা দেয়, তখন তিনি হযরত হাফসা (রাঃ)-র নিকট গচ্ছিত পাণ্ডুলিপি গুলোকে কুরআনের প্রামাণ্য পান্ডুলিপি হিসেবে গ্রহণ করেন

এবং তা কতিপয় খ্যাতিসম্পন্ন হাফিযের আবৃত্তির সঙ্গে মিলিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পান্ডুলিপি তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন। তাই দেখা যায়, আল্লাহর আদেশে জিব্রাইল (আঃ)-এর মারফত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নিকট যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল, তা হযরত আবু বক্কর (রাঃ) ও হযরত উসমান (রাঃ) সংকলন করেন। আর সেই মূল কোরআনই অবিকৃত ও অপরিবর্তিত অবস্থায় আজব পৃথিবীর সর্বত্র চালু আছে।

উপসংহার

পবিত্র কুরআনে বহু আয়াত রয়েছে, যেগুলো থেকেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, কুরআনে জ্ঞানী ব্যক্তিদের চিন্তা ভাবনার জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে। কুরআনের বিষয়বস্তু এবং কুরআনের সংকলন সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম হয়তো আপনি সম্পূর্ণ কিছু বুঝতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন অপশন থেকে আপনার মূল্যবান মতামতি জানিয়ে দিবেন।

যদি এখানে আরো কিছু আপনি জেনে থাকেন তাহলেও কমেন্ট করে জানাবেন এতে করে অন্যরা যারা এই আর্টিকেলটি পড়বে তারা উপকৃত হবে। এছাড়াও নিজে ফেসবুক আইকনের উপরে ক্লিক করে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। তাহলে আপনার অন্যান্য ফেসবুক ফ্রেন্ডরাও জানতে পারবেন কুরআনের বিষয়বস্তু এবং কুরআনের সংকলন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url