রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর
রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর বা রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু গণনা কর এ ধরনের প্রশ্ন যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। সাধারণত এই প্রশ্নটি গ বিভাগের রচনামূলক প্রশ্নের মধ্যে থাকে। এ কারণে আমরা রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু নিচে আলোচনা করছি।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন অথবা আপনি যদি রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান তাহলেও এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
evvtv
ভূমিকা - রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর
ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন না যারা চান অনলাইনে এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানবেন তাদের জন্যই আমরা এটি প্রস্তুত করেছি। তবে আপনি যদি এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের পড়াশোনার খবর এবং শিক্ষা ক্যাটাগরিতে গিয়ে আরও অনেক প্রশ্ন উত্তর জানতে পারবেন।
এবং শিক্ষা বিষয়ক অনেক তথ্য জানতে পারবেন। আপনি যদি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হন অথবা অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন আর রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর এই প্রশ্নটি যদি আপনাকে কেউ করে অথবা পরীক্ষার খাতায় পড়ে তাহলে নিচে দেওয়া উত্তরটি আপনি লিখতে পারেন।
রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর
উত্তর|| ভূমিকাঃ বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয়বস্তু হলো অর্থনীতি। আর এই অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ রাজনৈতিক অর্থনীতি। রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিক অর্থনীতি এটি গতিশীল শাস্ত্র বলে এর বিষয়বস্তু ও গতিশীল।
রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তুঃ
রাজনৈতিক অর্থনীতির মূল উৎপত্তি ঘটেছে মানুষের বস্তুগত সম্পদের উৎপাদন কে কেন্দ্র করে। নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
১. উৎপাদন শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কঃ রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়বস্তু হিসাবে আমরা উৎপাদন শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কে প্রথমে আলোচনা করতে পারি। আমরা দেখতে পাই যে, রাজনৈতিক অর্থনীতি মনে করে জনগণের সাথে উৎপাদনের সম্পর্ক যেমন বিদ্যমান তেমনি উৎপাদন শক্তির সাথে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।
তবে উভয়ের মাঝে কিছুটা ব্যবধান পরিলক্ষিত হলেও উহার পারস্পরিক কেউ কারো প্রভাবমুক্ত নয়। উভয়ে একে অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। রাজনৈতিক অর্থনৈতি সম্পদ বন্টনের স্বরূপ, উৎপাদনের উপায় সমূহের মালিকানার স্বরূপ, উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সামাজিক গোষ্ঠী সমূহের এবং শ্রেণি অবস্থান ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আলোচনা করে থাকে।
২. শ্রেণি বিশ্লেষক বিজ্ঞানঃ রাজনৈতিক অর্থনীতিকে শ্রেণী বিশ্লেষক বিজ্ঞান বলা যায়। কারণ দেখা যায় রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের বিভিন্ন সময়কার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
তাই প্রাণী বিশ্লেষণের কারণ হিসেবে দেখা যায় রাষ্ট্রের বস্তুগত সম্পদের উপাদান বন্টন বিনিময় ও ভোগের ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মাঝের সম্পর্ক ও সার্থকতা ফুটে ওঠে। পর্যায়ক্রমিকভাবে ইহার পরিমাণ, গুণগত ও পরিবর্তনও সাধিত হয়।
৩. ইতিহাস বিশ্লেষক বিজ্ঞানঃ রাজনৈতিক অর্থনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে অর্থাৎ উৎপাদন শক্তি ও সম্পর্ককে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে, যার কারণে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে ইতিহাস বিশ্লেষক বিজ্ঞান বলা যায়। অর্থনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মানুষ সংগ্রামের ইতিহাস।
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী মানুষের চিন্তাচেতনা, ধ্যান ধারণাতে পরিবর্তন আসতে পারে তবে মালিক ও শ্রমিক সম্পর্ক বিশ্লেষণের দিক থেকে শোষক ও শোষিতের মধ্যে অমীমাংসিত সম্পর্ক থেকেই যাবে। পারস্পরিক সংঘাতের কারণে সমাজ কাঠামো ভেঙ্গে নতুন উন্নত সমাজ কাঠামো গঠন করা হয়।
৪. সামাজিক অন্য উৎপাদন বিশ্লেষকঃ রাজনৈতিক অর্থনীতি শুধু উৎপাদনশক্তি, উৎপাদন সম্পর্ক, মালিক ও শ্রমিকের পারস্পরিক দ্বান্বিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে না। তার সাথে সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য মালিক উৎপাদন ও বিশ্লেষণ করে থাকে। যেমন-রাজনৈতিক, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি, আচার অনুষ্ঠান, আইন ইত্যাদি বিষয়াদি।
৫. উৎপাদন প্রক্রিয়াঃ রাজনৈতিক অর্থনীতি মনে করে উৎপাদন প্রক্রিয়া সামাজিক বিকাশের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন প্রক্রিয়া ধাবমান। রাজনৈতিক অর্থনীতি মনে করে উৎপাদন শক্তি ও সম্পর্কের পরিবর্তন এবং বিকাশের মধ্য দিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক বিকাশ সাধিত হয়। রাজনৈতিক অর্থনীতি পর্যালোচনা করে থাকে কিভাবে একটি স্তরের উৎপাদন প্রণালী সাথে অপর স্তরের উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বরূপ ও পরিমানগত পার্থক্য কতটুকু দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ স্কুলের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
৬. অর্থনৈতিক সমস্যা চিহ্নিতকরণঃ রাজনৈতিক অর্থনীতি মানব সমাজে বিদ্যমান সকল অর্থনৈতিক সমস্যা চিহ্নিতকরণপূর্বক সেটা সমাধানের প্রয়াস চালায়। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যে সকল অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয় সেটা নিয়েও রাজনৈতিক অর্থনৈতিক আলোচনা করে।
৭. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কঃ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মানব সমাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
৮. বাজার ব্যবস্থাঃ রাজনৈতিক অর্থনীতিতে সরকার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাজার ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত এবং কি ধরনের মূল্য নির্ধারণ করলে দ্রব্যমূল্য সাফল্যের নাগালে থাকবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিসর বিস্তৃত।
৯. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাঃ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যথিত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক অর্থনীতির ব্যাপক পরিসরে কিভাবে রাজনীতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা যায় সেদিকে আলোকপাত করে থাকে।
১০. অর্থনৈতিক পরিকল্পনাঃ পরিকল্পনা ব্যতীত কোন দেশের অর্থনৈতিক সুষ্ঠুভাবে চলতে পারেনা। স্বল্প পরিসরে রাজনীতিক অর্থনীতি সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সেটা ায়নের উপর গুরুত্বরোপ করে।
উপসংহারঃ উপযুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া চাই যে, রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়বস্তু কোন একক পদ্ধতির মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।, রাজনৈতিক অর্থনীতি উৎপাদনের উৎসব উপকরণ উৎপাদন প্রণালী অর্থনীতির উপর ও অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনার সূত্রপাত যেমন তৈরি করে তেমনি মীমাংসার জন্য এগিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মতাদর্শগত সংঘাতের ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুনঃ চাকরির ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
লেখকের মন্তব্য
উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরটি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ পত্রের জন্য। আপনি যদি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রশ্নটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আমরা খুব সুন্দর করে রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছি। এই প্রশ্নটিই দুইভাবে আসতে পারে প্রথমটি রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তু আলোচনা কর। এবং দ্বিতীয়টি রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তুর বর্ণনা কর। এছাড়াও আরো অন্যান্যভাবেও ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url