ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান

বর্তমানে ধামইরহাট উপজেলা দিন দিন অনেকটাই উন্নত হচ্ছে। তবে যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আপনার অনেকেই জানতে চান ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আমি লক্ষ করছি আপনারা খোঁজাখুঁজি করছেন ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান।
ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান
আপনি যদি ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জনতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ধামইরহটে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে আর সেই স্থান গুলো কি কি সেগুলো জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

সূচিপত্র: ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান

ইভিভিটিভি

ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান

আপনি যদি ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান এবং ঘোরাঘোরির জন্য প্রকৃতিক এর মধ্যে দর্শনীয় স্থান খুঁজে থাকেন তাহলে ধামইরহাট উপজেলা আপনার জন্য হবে একটি পারফেক্ট জায়গা।ধামইরহাট উপাজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান।
ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান
তবে আপনাদেরকে সমস্ত দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানাবো না আমরা বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনাকে জানাবো যে জায়গাগুলোতে সচরাচর মানুষ যাওয়া আসা করে। নিচে সেেই সকল দর্শনীয় স্থান এর নাম এরবং বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

নিম্নলিখিত দর্শনের স্থানগুলোতে প্রতিদিন অনেক মানুষের ভিড় হয়ে থাকে। আপনি যদি ধামইরহাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ধামইরহাটের ফেসবুক পেজটি ফলো করতে পারেন। এই পেজ থেকে ধামইরহাটের সকল তথ্য জানতে পারবেন। ধামইরহাট সম্পর্কে জানতে ফেসবুকে সার্চ করুন Dhamoirhat Region লিখে।

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান
ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান এর কথা ভাবলে প্রথমেই যেটি আসে সেটি হল আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান। আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। এটি ধামুরহাট টাউনের উত্তরে বর্ডার এলাকায় রয়েছে।


ধামইরহাট থেকে আলতদিঘী জাতীয় উদ্যানে করে বা সিএনজিতে করে গেলে ২০ টাকা ভাড়া লাগে। যারা বিশেষ করে প্রকৃতিপ্রেমী তাদের জন্য আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান হতে পারে সব থেকে বেস্ট। আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান।

আলতদিঘী জাতীয় উদ্যান স্বীকৃতি পায় ২০১১ সালে। এই আলতদিঘীর রয়েছে একটি ইতিহাস। এই আলতদিঘী জাতীয় উদ্যানের আদিবাসীদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। চারপাশে ঘিরে রয়েছে আদিবাসী। তাই আপনারা যারা আদিবাসীদেরকে দেখতে চান তাদের বাড়িঘর দেখতে চান এবং তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই জায়গাটা হতে পারে সব থেকে বেস্ট বা সবথেকে ভালো।

দিন দিন এই জায়গাটিকে উন্নত করার জন্য কাজ করছে সরকার। তবে বর্তমান আলতদিঘী জাতিয় উদ্যান ধামইরহাট উপজেলার মধ্যে সব থেকেক ভালো একটি স্থান। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে ঘুরতে। বিশেষ করে যখন ঈদ আসে তখন অনেক ভির হয়। এতোটাই ভির হয় যে যেই ভিরের কারনে কেউ আলতাদিঘী জাতিয় উদ্যানে পাবেশ করতে পারবে না।

যতি প্রবেশ করতে ও চায় তাহলে অনেক সময় লেগে যায়া। বর্তমানে আলতদিঘী জাতিয় উদ্যানে যুক্ত হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার যার কারনে আলতদিঘীতি জন সংখ্যা অনেক টাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আরো রয়েছে নানান উপায়। আপনি যদি আলতদিঘী জাতিয় ‍উদ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং দেখতে চান তাহলে এই ভিডিওটি দেখুন।

জগদ্দল বিহার

জগদ্দল বিহার
ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে আরো একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল জগদ্দল বিহার। জগদ্দল বিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। আপনি যদি এখন জগদ্দল বিহারে যান তাহলে আপনি বিহারের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পারবেন।

তবে বেশ কয়েক বছর আগে এটি খনন করা হয়েছিল উপরে। এবং এখান থেকে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। যেমন: অলংকার, প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ ইত্যাদি। এই সবকিছুই কিন্তু পাল যুগের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে। জগদ্দল বিহার বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানে প্রকাশ পেয়েছে।


এটি বাংলাদেশের জন্য গর্ভের একটি বিষয়। বাংলাদেশের যত বিহার রয়েছে তার মধ্যে থেকে জগদ্দল বিহার ও অন্যতম। ধারণ করা হয় এই জগদ্দল বিহার প্রতিষ্ঠা করে পাল রাজা রামপাল। এবং আরো তথ্য জানা যায় জগদ্দল বিহার প্রতিষ্ঠা লাভ করে আনুমানিক ১০৭৭-১১০৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। তবে জগদ্দল বিহার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তেন কোন সুনিদিষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায় নি।

ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে জগদ্দল বিহার ও ভালো। জগদ্দল বিহারটি আলতদিঘী জাতিয় উদ্যান এর পাশেই অবস্থিত। বর্তমানে ধামইরহাট থেকে এই স্থানে আসতে সময় লাগে সিএনজিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বা তারো কম লাগে।

আপনি যদি মটর সাইকেল বা বাস বা অন্যান যান ব্যবহার করেন তাহলে আপনার আর সময় কম লাগতে পারে। ধামইরহাট থেকে জগদ্দল বিহারে আসতে ভাড়া লাগতে পারে ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রযুন্ত। মজার বিষয় হলো আপপনি যদি জগদ্দল বিহার আসেন তাহলে আপনি বিনামূলে এই স্থানটি দেখতে পারবেন। অন্যান ঐতিহাসিক স্থান গুলোর মতো টিকিট কেটে এখানে প্রবেশ করতে হয় না।

ভীমের পান্টি

ভীমের পান্টি
ধামইরহাট উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান হতে পারে মঙ্গলবাড়ী ভীমের পান্টি। এটি মঙ্গলবাড়ী বাজার থেকে কিছুটা দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। বর্তমানে এই জায়গাটিতে বিশেষ কোন দিন ছাগা ততোটা মানুষের ভির হয় না।


আর এই ভীমের পান্টি কে নিয়ে অনেক লোককথা রয়েছে। এই ভীমের পান্টি সম্পর্কে একেক জন একেক রকম মতবাদ দিয়ে থাকেন। তবে এই ভীমের পান্টিটি টি বেশ পুরোন হওয়ার জন্য কেউ সেই রকম ভাবে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। এই ভীমের পান্টিটি দেখতে কালো রঙের এবং এর গায়ে কিছু লেখা রয়েছে আসলে সেই লেখাটি কোন ভাষার সেটি এখনো কেউ বলতে পারেনি।

সেখানে কি লেখা রয়েছে সেই বিষয়েও এখনো কেউ বলতে পারেনি কারণ সেই লেখাটা কোন ভাষার সেটিও এখনো জানা যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি স্তম্ভটে (ভীমের পান্টি) সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে তৈরি করা হয়েছে। এবং আমরা আরো ধারণা করছি সম্রাট অশোক ধর্মচর্চার জন্য এই স্তম্ভগুলো নির্মাণ করেছেন।

গোকুল ব্রিজ

গোকুল ব্রিজ স্থানীয়দের কাছে আড্ডা দেওয়ার মতন এবং সময় কাটানোর জন্য খুবই ভালো একটি জায়গা। এদের সময় অনেক লোকজন এই ব্রিজটাতে ভিড় করে। এটি ধামুরহাট উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নে এবং জাহানপুর ইউনিয়নের মাঝখানে অবস্থিত।

আপনি যদি গোকুল ব্রিজ সম্পর্কে জানতে এবং দেখতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। গোকুল ব্রিজ কোন ঐতিহাসিক স্থান নয়। তবে স্থানীয়রা এই জায়গাটিতে ভীড় করেন এবং সময় কাটান। ঈদের সময় এই ব্রিজে অনেক মানুষের ভিড় হয়। এছাড়াও যখন বন্যা হয় তখন আবার প্রতিদিনই প্রায় ভীর হয়ে থাকে। এছাড়াও বন্যার শুকিয়ে গেলে পুরো মাঠ সবুজ হয়ে ওঠে।

শিমুলতলি ব্রিজ

গোকুল ব্রিজের মতোই শিমুলতলি ব্রিজ এই ব্রিজটি কোন ঐতিহাসিক স্থান নয় শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য এবং দেখতে অনেক ভালো এই কারণে এই জায়গাটিতে অনেক মানুষ ভিড় করে। দর্শনীয় স্থান হিসেবেও এটিকে ধরা যায়। কারন এখানে অনেক মানুষের ভিড় হয়।

ধামুরহাট উপজেলার মধ্যে সবথেকে বড় ব্রিজ হল শিমুলতলী ব্রিজ। এই ব্রিজটি ধামুরহাট বাজার থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থিত। বর্তমানে সিএনজিতে করে বা অটোতে করে গেলে ভাড়া লাগবে ২০ থেকে ৩০ টাকা টাকা। অটোতে করে গেলে সময় লাগতে পারে আধা ঘন্টা বা ৪০ মিনিট। ভিডিও দেখুন

লেখকের মন্তব্য

উপরোক্ত দর্শনীয় স্থানগুলো ছাড়া আরো অনেক ছোটখাটো স্থান রয়েছে সেই স্থানগুলোতে মানুষ ভিড় করে তবে সেই স্থানগুলো কোন ঐতিহাসিক স্থান নয়। আমি লেখক ধামইরহাটের একজন স্থানীয় বাসিন্দা। ধামইরহাট উপজেলাকে বিশ্বের সামনে তুলেধরতে আমি কাজ করছি। আপনি চাইলে আমার ধামইরহাট পেজটি ফলো দিতে পারেন। এখান থেকে আপনি ধামুরহাট এর সব খবরা খবর পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url