ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে কি আপনি ইচ্ছুক? আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব কিভাবে আপনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর জন্য আবেদন করবেন কিভাবে আপনি এই লোন পাবেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
এবং কারা কারা ইসলামিক ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন তার গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন আমি দিয়েছি এই পোস্টটির মাধ্যমে তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
DMCA

ভূমিকা - ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ঋণ বা লোনের প্রয়োজন হয়। আর আমাদেরকে এই লোন দিতে পারে ইসলামী ব্যাংক। অন্যান্য আরো ব্যাংক রয়েছে যারা লোন দিয়ে থাকে কিন্তু ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিলে এখান থেকে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন ইসলামী ব্যাংকের সুদের পরিমাণ কম

এবং আপনি যদি অন্যান্য ব্যাংক থেকে নেন তাহলে সেই ব্যাংকগুলোর সুদের পরিমাণ আরো বেশি। যারা বিদেশে থাকেন তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই লোনটি খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন। এবং আপনি এই লোনটি গ্রহণ করার সাথে সাথে আরো অনেক সুবিধা পাবেন এই ইসলামী ব্যাংক থেকে। তো চলুন ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নির্দিষ্ট করে কাউকে কিছু বলেন। ইসলামিক ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা পাবেন সেটি নির্ভর করবে আপনি যে কাজ করছেন আপনার কাজের উপর নির্ভর করে। মূলত এই প্রবাসীর লোন শুধু তারাই পায় যারা বিদেশে কাজ করে অনেক বছর ধরে এবং বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র তারাই এই লোনটি গ্রহণ করতে পারবে।

প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে হলে আপনি কত টাকা নিবেন প্রথমের সিডি ঠিক করতে হবে এবং সেটা ঠিক করার আগে আপনি কি কাজ করছেন সেটি আপনাকে জানতে হবে। আপনার কাজের অনুযায়ী তারা আপনাকে লোন দিবে আপনি যদি বড় কোন কাজ করেন কিংবা মাসিক অনেক টাকা বেতন পান তাহলে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন আপনাকে অনেক টাকা দিবে।

এবং আপনার যদি ছোটখাটো কোন চাকরি বা অল্প টাকার কোন চাকরি করে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে অল্প টাকায় দিবে। প্রবাসী ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে অবশ্যই তারা আপনার আয়ের দিকটা দেখতেছে। আপনার আয় যদি ভালো থাকে তাহলে আপনাকে তারা অনেক টাকা ঋণ দিবে।

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী লোন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান কত টাকা দেয় এইটা যদি আপনি বিস্তারিত নির্দিষ্ট করে জানতে চান তাহলে আপনি সরাসরি তাদের অফিসে কি কথা বলতে পারেন। তবে এখান থেকে আপনি ৫০০০০ থেকে শুরু করে 10 কোটি টাকা পর্যন্ত প্রবাসী লোন নিতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে প্রথমে আপনাকে বিদেশে কাজ করতে হবে এবং আপনাকে বিদেশে কাজ করার কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে কিংবা আপনি এখনো বিদেশে কাজ করছেন। প্রবাসী লোন নিতে পারে যে কেউ যেমন কোন ছেলে কিংবা মেয়ে আপনার এবং আপনি নিজেই। তবে প্রবাসী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ ঊর্ধ্বে হতে হবে।

আপনার বয়স যদি ১৮ কম হয় তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে পারবেন না। অবশ্যই আপনার ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। এবং আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।

ইসলামী ব্যাংকে কি কি কারনে লোন নিতে পারবেন

ইসলামী ব্যাংক মূলত বিভিন্ন খাতে লোন দিয়ে থাকে আপনার নিম্নলিখিত সব কয়টি খাতে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
  • প্রবাসী লোন
  • লোন স্ক্রিন ছোট্ট ব্যবসা
  • মহিলা উদ্যোক্তা
  • ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন
  • উদ্যোক্তা লোন
  • রিয়েল এস্টেট লোন
  • ট্রান্সপোর্ট লোন
  • গাড়ির লোন
  • কৃষি খেতে লোন
  • হোম লোন বা হাউজ লোন
  • ডক্টর লোন

উপরোক্ত এই কয়েকটি খাতে আপনি লোন নিতে পারবেন ইসলামিক ব্যাংক থেকে। আমরা এতক্ষণ জানলাম ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়। এবং প্রবাসী লোন পদ্ধতি এবং কারা কারা এই লোন পাবে তার সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন উদ্দেশ্য সম্পর্কে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর উদ্দেশ

ইসলামী প্রবাসী লোন দেয়ার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে এর জন্য প্রবাসীদের ইসলামী ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে তো এখন আমরা জানবো কি সেই উদ্দেশ্য।
  • বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রধানের উৎসাহ করে।
  • বাংলাদেশের নতুন করে কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এবং অবৈধ লেনদেন বন্ধ করে।
  • এবং প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতা করা।
  • প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট এবং বিভিন্ন মানুষের চরিত্র বিবর্তন করা।
  • প্রবাসী উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা।
ইত্যাদি আরো অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে যে কারণগুলির কারণে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক লোন দেয় আরো অনেক কারণ রয়েছে যে কারণগুলোর কারণে তারা লোন থাকে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে জানা উচিত কি কি কাগজে লাগতে পারে কি কি ডকুমেন্ট থাকলে আপনি সেখানে আবেদন করতে পারবেন প্রবাসী লোনের জন্য।

আপনি যদি এই সমস্ত কাগজ বা তথ্য না জেনে সেখানে আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন করতে গেলে অনেক হয়রানি হবে। তাই আগে থেকে জেনে রাখুন প্রবাসী লোনের জন্য কি কি কাগজ লাগে আবেদন করতে। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে নিম্নলিখিত কাগজগুলো প্রয়োজন হতে পারে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • গ্রাহকের ভিসা
  • পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • গ্রাহকের মাসিক বেতনের রশিদ
  • এবং তার সঙ্গে দুজন ব্যক্তিকে লাগবে যে ব্যক্তির অনেক টাকা-পয়সা আছে। এবং আপনি যদি সেদিন শোধ করতে না পারেন তারা যেন সেই ঋণশোধ করার দায়িত্ব নেয়।

উপরোক্ত এই কয়েকটি কাগজ থাকলে আপনি খুব সহজে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর জন্য আবেদন করার নিয়ম

লোন পাবার জন্য প্রথমে এই কিভাবে কি করবেন কি কিভাবে আবেদন করতে হয় এটুকু যদি আপনি না জানেন তাহলে আমি এখন আপনাকে জানাবো কিভাবে আবেদন করবেন প্রবাসী লোনের জন্য। মূলত নিম্নলিখিত ধাপ অনুযায়ী আবেদন করা হয় লোনের জন্য। তাই প্রবাসী লোনের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি নিম্নলিখিত আবেদন করার ধাপ অনুসরণ করতে পারেন।

  • প্রথমেই আবেদনকারীকে অবশ্যই তার ডকুমেন্ট সকল সংগ্রহ করতে হবে। উপরে যে কয়েকটি ডকুমেন্ট বা কাগজের কথা বলেছি সেই সকল কাগজ সংগ্রহ করুন। এবং আরো কি কি কাগজ লাগতে পারে এই বিষয়ে বিস্তারিত আপনি ব্যাংক থেকে জেনে নিতে পারেন তাদের হেল্প লাইনে কল দেওয়ার মাধ্যমে।
  • আপনার সকল কাগজ সঙ্গে নেয়ার পর আপনি ইসলামী ব্যাংকের অফিসে গিয়ে বা শাখা থেকে প্রবাসী লোন আবেদনের ফরমটি সংগ্রহ করবেন। এরপর আপনি ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
  • এরপর আপনার ডকুমেন্ট এবং সেই ফর্মটি সহকারে আপনি তাদের কাছে জমা দিবেন। অবশ্যই সকল কাগজ বা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার আগে চেক করে নিবেন সকল তথ্য এবং সকল কাগজ ঠিক আছে কিনা। সকল ইনফরমেশন এবং সকল ডকুমেন্ট বা কাগজ যদি আপনার ঠিক থাকে তাহলে আপনি তাদের কাছে আপনার সেই আবেদন ফরম এবং কাগজ গুলি জমা দিবেন।


  • সকল ইনফরমেশন আপনার ফর্ম এবং ডকুমেন্ট কাগজ জমা দেওয়ার পর তারা আপনার আবেদন এর সকল কাগজ চেক করবে এবং আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা সেটি চেক করবে। এরপর তারা যদি দেখে আপনাকে লোন দেওয়া প্রয়োজন কিংবা তারা লোন দিতে পারবে এবং লোন নেওয়ার আপনার যোগ্যতা রয়েছে তাহলে আপনি খুব সহজেই তাদের কাছ থেকে লোন নিতে পারবেন এরপরে তারাই আপনাকে জানাবে যে কিভাবে কখন আপনি লোন নিতে চান।

তাদের কাছে কাগজ জমা দেয়ার পর অবশ্যই তাদের থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন তারপরে আপনার পদক্ষেপ গুলো কি কি হতে পারে সেই সম্পর্কে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের সময়কাল

আপনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিতে পারবেন ১ থেকে ১০ বছরের জন্য। আপনি কত টাকা রোল বা ঋণ নিবেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার কিস্তি এবং আপনার কিস্তির বছর বলে দেওয়া হবে।

আমাদের শেষ কথা

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি কিভাবে আপনি আবেদন করবেন এবং কি কি কাগজের প্রয়োজন সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা জেনেছি। আপনি যদি এই পোস্টটি ভালভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝে গেছেন আমরা কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করিয়ে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি।

এবং আপনি যদি কোন সমস্যায় পড়ে থাকেন কিন্তু কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আমরা আপনাকে কমেন্টে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এ ধরনের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা প্রতিদিন প্রকাশ করে থাকি আমাদের ওয়েবসাইটে।

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আপনি নিচে ইমেইল পোস্ট নোটিফিকেশনে অপশন এ গিয়ে আপনার ইমেইল সাবমিট করার পর সেখানে ফলো করুন। তাহলে খুব দ্রুত প্রতিদিনের আপডেট আপনি ইমেইলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url