ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
বর্তমানে এই সময় সবাই সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করতে চায়। আর কি সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেছে নিয়েছে। আর ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার জন্য জানেত হবে আয় করার উপায়। আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় জানতে পারবেন।
আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপানর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ক্রিপ্টোকারেন্সি নাম নামটা অনেকেই শুনেছেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা / টাকা। আপনি হয়তো শুনেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা যায়। কিন্তু কিভাবে আয় করা যায় সে বিষয়টি আপনি জানেন না। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অনেকেই প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় না এটি পরিচালিত হয় ব্লগ চেইনের মাধ্যমে। অনেক মানুষ ঘরে বসেই স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করছে। আপনি ও পারবেন তাদের মতো করে আয় করতে।
তবে আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা যায়। তহলে চলুন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় জেনে নেই। যে উপায়গুলো অবলম্বন করে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা যায় সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং থেকে আয়: ক্রিপ্টোকারিন্সি থেকে ইনকাম করার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো ট্রেডিং। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং মানে হলো দাম উঠা নামার আইডিয়া করে লাভ করা। ধরুন যখন একটি কয়েনের দাম কম থাকবে তখন আপনি কম টাকায় সেই কয়েনেটি কিনলেন এবং যখনে সেই কয়েন এর দাম বেশি হবে তখন আপনি সেই কয়েন টা বিক্রয় করে দিবেন।
ধরা যাক একটি কয়েন আপনি ১০০ ডলার দিয়ে কিনলে এবং যখন দামটি বেশি হলো তখন আপনি সে একই কয়েনটি 1000 ডলারের বিক্রি করলেন। তাহলে এখানে আপনার লাভ হবে 900 টাকা ডলার। তবে এটি কখন কমবে কখন বেশি হবে সেটি অনুমান করা খুবই কঠিন। এই কারণে মার্কেট খুব ভালোভাবে এনালাইজ করতে হয়। এরপরে বাই এবং সেল করতে হয়। এভাবে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করে আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে হাতে লিখে আয়
- স্টেইকিং এর মাধ্যমে পেসিভ ইনকাম : যেকেউ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে স্টেইকিং করে ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনি ডলার দিয়ে কিছু কয়েন কিনলেন এরপর সেই কয়েনগুলো ব্লকচেইনে লক করে রাখলেন। এরপর কিছু সময় যাওয়ার পর সেখান থেকে আপনি কিছু রিউয়াড উপহার হিসেবে পেলেন।
একবার কয়েন ব্লকচেইনে লক করে রাখলে আপনাকে কিছু করতে হবে না, নিদিষ্ট সময়ে আপনি সেখান থেকে উপাহার পাবেন। চলুন আমি একটি উধাহারণ দিয়ে আপনাকে বুঝিয়ে দেই। ধরুন আপনি যদি ২০০০ টাকার সমমূল্যের ADA কয়েন স্টেইক করেন। এরপর সেখানে নিদিষ্ট সময় যাওয়ার পর ১০ % রিউয়াড পান তাহলে আপনি সেখান থেকে ২০০ টাকা কমিশন পাবেন। - মাইনিং করে ইনকাম : আপনারা মাইনিং করে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ইনকাম করতে পারবেন। মাইনিং উচ্চমানের স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে করা যায়। মাইনিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যা আপনি আপনার ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ব্লকচেইনের ট্রানজেকশন ভেরিফাই করেন। অথবা অন্যান্য কঠিন সমস্যা গুলি সমাধান করেন। যখন আপনি এই মাইনিং করবেন তখন আপনি তার বিনিময়ে কিছু পয়েন্ট পাবেন আর সেই কয়েন গুলো পরবর্তীতে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করতে পারবেন।
- এয়ারর্ড্রপ থেকে আয়: ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় গুলোর মধ্যে এয়ারড্রপ থেকে আয় সবাই করতে পারবেন। আপনি হয়তো এয়ারড্রপ থেকে আয় করার কথা শুনেছেন। এয়ারড্রপ ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি প্রোগ্রাম। এখানে তারা মার্কেটিং করার জন্য এই সিস্টেমটা চালু করেছেন। এখান থেকে ফ্রিতেই ইনকাম করা যায়। যখন আপনি আপনার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান তখন সেখান থেকে এয়ার্ড্রপে কিছু কয়েন পাবেন এরপরে আপনি সেই এয়ারড্রপের কয়েন গুলো ক্রিপ্টিাকারেন্সিতে কনভার্ট করতে পারবেন।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি হোলডিং ইনকাম: ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিটকয়েন কিনে রাখলে একটা সময় আস্তে আস্তে সেই কয়েন গুলোর দাম বেশি হবে। ধরুন আজেক ১০০ টাকা দিয়ে ১ ডলার কিনলেন কিনে রেখে দিলেন আর একটা সময় এই ডলার এর দাম বেশি হবে আর তখন আপনি এই ১ ডলার বিক্রয় করবেন ‘৫০ টাকায় তাহলেে এখান থেকে আপনার ৫০ টাকা লাভ হলো।
কিন্ত এই ভাবে লাভ করতে হলে আপনাকে আপনাকে ডলার কিনে বেশি সময় ধরে রাখতে হবে। যখন দাম বেশি হবে তখন আপনি বিক্রয় করে দিবেন। আপনি যদি লং টাইম বিনিয়োগ করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত। তবে আপনি যদি বেশি টাকা লাভ করতে চান তাহলে ৩ থেকে ৫ বছর বিনিয় করে রাখতে হবে। তাহলে এখান থেকে বেশি লাভের সম্ভবনা থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কি রেফারেল করে ইনকাম করা সম্ভব?
জি হ্যাঁ আপনি চাইলেই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে রেফার করে ইনকাম করতে পারবেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে রেফার করে ইনকাম করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপরে সেখানে রেফারেল কোড সংগ্রহ করতে হবে। রেফারেল কোড সংগ্রহ করার সময় সেখানে রেফার করার শর্তগুলো রয়েছে সে সকল শর্ত আপনি ভালোভাবে দেখে নিবেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনি সেখান থেকে রেফারেল কোড নিয়ে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাবেন।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন 400 টাকা ইনকাম করুন
কেউ যদি আপনার লিংকে ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু অর্থ পাবেন। এভাবে আপনি অনেক জনকে শেয়ার করতে পারেন এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সময় করণীয়
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় জানলে হিবে না আপনকে আরো জানতে হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সময় করনীয় কি? ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে হলে আপনাকে বেশ কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে সেই বিষয়ে জানতে হবে সে বিষয় শিখতে হবে।
আপনাকে গবেষণা করতে হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে। যখন আপনি লেনদেন করবেন তখন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করবেন। এখান থেকে আয় করার আরেকটি বড় বিষয় হলো ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট। অনেকেই এ বিষয়টি করতে পারে না অতিরিক্ত লোভ করতে গিয়ে সেখান থেকে কোন টাকা তারা উত্তোলন করতে পারে না। ক্রিপ্টোকারেন্সির এই দুনিয়ায় প্রচুর পরিমাণে ইসকামার রয়েছে তাদের থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ইনকাম করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনি সেই ক্রিপ্টো মার্কেটের প্রতিদিনের খবর রাখুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি?
বাংলাদেশে যেমন টাকা এবং ভারতে যেমন রুপি ঠিক তেমনি ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিজিটাল মুদ্রা। এটি কোন সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় না। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সম্পূর্ণ ব্লকচেইনের মাধ্যমে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধুমাত্র অনলাইনে ব্যবহার করা যায় বাস্তবে এটার কোন নোট (টাকা/রুপি) নেই।
ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন ইন বাংলাদেশ
বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স, বিটকয়েন ইত্যাদি নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী এগুলো কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি অবৈধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এগুলো অন্যান্য দেশে বৈধতা পেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যদি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে নিয়ে কোন কাজ করে তাহলে ভবিষ্যতে এগুলো বৈধতা পেতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয় বাংলাদেশ ছাড়া আরো কিছু দেশ (চিন, মরোক্ক, আলজেরিয়া) রয়েছে যেই দেশগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ।
এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালে এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাংলাদেশে ব্যাংকক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?
আপনি উপরে জেনেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়। আবার অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যবসা করতে চান। এখন হয়তো আপনারা অনেকেই আয় করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু অনেক মুসলিম ভাই-বোনেরা রয়েছেন যারা জানতে চান ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হালাল নাকি হারাম এটা নির্ভর করে আপনার উপর। ইসলাম সব ব্যবসাকে হারাম বলে না তবে বৈধভাবে ব্যবসা করলে সেটি হালাল হয়। আপনি যদি শর্ত মেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করেন তাহলে এটি হালাল। তবে বাংলাদেশে যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চান তাহলে এটি সম্পূর্ণ হারাম হবে।
আরো পড়ুন: ক্যাসিনো গেম খেলার নিয়ম
লেখকের মন্তব্য
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় আমরা জানলাম। এছাড়াও আরো জেনেছি ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি? আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করে ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয় করার উপায় বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি অন্যদের কাছে শেয়ার করুন। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে প্রথমেই ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url