বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা 20 পয়েন্ট

আপনি কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? আমি এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়লেই খুব ভালোভাবে জানবেন এবং বুঝবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের একটি বড় ইতিহাস রয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা 20 পয়েন্ট
বাংলাদেশ অনেক যুদ্ধের পর স্বাধীনতা পেয়েছে তাই এই বিষয়ে আলোচনা হবে এটা স্বাভাবিক। এই মুক্তিযোদ্ধাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পরীক্ষায় কিংবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে। তো চলুন বেশি দেরি না করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আপনি যদি এই নিবন্ধনটি পড়ে যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন অথবা আপনি যদি এই নিবন্ধনটি ভালোভাবে পড়ে আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে ক্লাসে জমা দেন তাহলে আপনি অনেক ভালো মার্ক পাবেন।
ইভিভিটিভি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা লেখার আগে আমরা জানবো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে। নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলি আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনায় তুলে ধরবো। আপনি যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনায় এই বৃষ্টি পয়েন্ট তুলে ধরে। তাহলে খুব সহজেই আপনি অনেক ভালো মার্ক পাবেন এবং যেকোনো জায়গায় প্রথম স্থান নিতে পারবেন।
  • ভূমিকা
  • পূর্ববর্তন সময় ভূমিকা
  • মুক্তিযুদ্ধ সূচনা
  • ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম
  • মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতিক যোগদান
  • মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনা
  • অপারেশন সার্চলাইট
  • পাকিস্তানের উত্তাপ
  • মুক্তিযুদ্ধের মুহূর্ত
  • মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনা
  • ৭১ এর নির্বাচন
  • ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
  • ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন
  • ২৬ শে মার্চ
  • ৭ই মার্চর ভাষন
  • ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল
  • মুক্তিযুদ্ধের পরিণাম
  • মুক্তিযুদ্ধের অধিকার
  • সমাপ্তি
  • আমাদের শেষ কথা

রচনাঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

ভূমিকাঃ বাংলাদেশের একটি ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশ আগে ব্রিটিশরা শাসন করতো। এরপর পাকিস্তান এ বাংলাদেশ দখল করার চেষ্টা করেছিল ১৯৭১ সালে। আমরা জানি বাংলাদেশ এখন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের আগে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে চলাফেরা কিংবা কোন কিছু করতে পারত না।


বর্তমানে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ এই দেশে প্রত্যেকেই নিজের স্বাধীনতা মতো চলাফেরা করতে পারবে। বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষরা খুব সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারছে তাদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছেন। তাদের নিজস্ব একটি ভাষা তারা ধরে রেখেছে। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের হাজারো ভাই বোনের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে।

একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের প্রতি চরম অত্যাচার করা হতো। তখন সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তাদের অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তারা তাদের স্বাধীনতাকে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে এখন তারা সুস্থ সুন্দরভাবে স্বাধীনতা ভাবে চলাফেরা করতে পারছে এবং সুন্দরভাবে বাঁচতে পারছে।

এসব কিছু সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাঙালিরা বাংলার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে তারা একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

পূর্ববতন সময় ভূমিকা - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
পূর্ববতন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, যখন বাঙালি জনগণ ভূমির মৌলিক অধিকার তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি মৌলিকতা এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিল। তারা যুদ্ধ করেছিল তাদের স্বাধীনতার জন্য তাদের ভাষার জন্য তাদের দেশের জন্য।

এই যুদ্ধের মূল উদযাপনা ছিল বাংলা ভাষা ও ভাষা আন্দোলন এবং দেশের এবং স্বাধীনতার, যা পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আরিফ প্রারম্ভিক হিসেবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সময়টা তখনকার যখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের দেশের জন্য যুদ্ধ করে তারা দেশ স্বাধীন করেছিল। তারা বহিরাগতদের তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল শত্রুর হাট থেকে তাদের দেশকে রক্ষা করেছিল সময়টা ‍পূর্বতন সময়।

মুক্তিযুদ্ধ সূচনা - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানরা শাসনামল ছিল, হাজার 971 সালে যখন পাকিস্তান এ দেশকে শাসন করতো। তখন বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ সৃষ্টি করেছিল। আর এই স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই আজ বাংলার মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা বাঁচতে পারছে। একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশ দখল করে রেখেছিল।

তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশের মানুষ রা তারা যুদ্ধ করেছে পাকিস্তানরা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের কিছুই ছিল না বাংলাদেশের ছিল শুধু আত্মবিশ্বাস এবং মনের জোর এবং হাতে একটা লাঠি এই দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিল। তারা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছিল।

আর তাদের দেশের রক্ষার জন্য পাশের দেশ ভারত বাংলাদেশকে অনেক ধরনের সাহায্য করে যার ফলে বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল। বাংলাদেশের জনক অন্যের স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভর অর্জন করতে চেষ্টা করতে চেয়েছিল এবং তারা সফল হয়েছে।

ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৫২ সাল থেকে তাদের ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৯৫২ সালের পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশের ভাষাকে পরিবর্তন করতে চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তান বাহিনীর চেয়েছিল বাংলাদেশের একমাত্র ভাষা হবে উর্দু ভাষা। কিন্তু বাংলাদেশের আসল ভাষা ছিল বাংলা ভাষা। পাকিস্তান বাহির চেষ্টা করেছিল বাংলার বাংলা ভাষাকে মুছে দিতে উর্দু ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের ভাষাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা একের পর এক চক্রান্ত চালাচ্ছিল কিন্তু কোন চক্রান্তেই তারা সফল হতে পারত না। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনেক ভাই বোন আন্দোলনের নেমেছিল এবং সেই আন্দোলনে তারা তাদের প্রাণ হারিয়ে ফেলে। তারা শহীদ হয়েছিল বাংলা ভাষার জন্য। ১৯৫২ সালে বাঙালির জনগণের ভাষা আন্দোলনের একটি নতুন সংগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের জন্য অমর করা হয়েছিল।

বর্তমান সময়ে অনেক দেশ একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করে শহীদদের স্মরণ করে। বাংলাদেশের মানুষ এই দিনে শহীদদের স্মরণ করে এবং এই দিনে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এবং যে যেখান থেকে পারে শহীদদের স্মরণ করে এবং তাদের জন্য দোয়া করে। এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে একতা এবং আত্মনির্ভরের উদ্দীপনা ছিল যা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের একমুখী পরিণত হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতিক যোগদান - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক এর ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ অত্যাধিক ছিল। মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতিক এই যোগদানের মাধ্যমে তারা বাংলার মানুষকে বাংলার জনগণকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এবং মুক্তিযোদ্ধার সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ জনগণকে একমুখী একত্রিত একজোট হওয়ার জন্য অনেকটাই কাজে লেগেছে।

মুক্তিযুদ্ধের সংস্কৃতিক যোগদানের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা কে আরো সহজেই অর্জন করতে তারা সাহস পেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতিক যোগদান যেমন সঙ্গীত নিত্যশিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে জনগণ একমুখী হয়েছিল মুক্তিবাহিনীর সাথে এবং এটি একটি ভূমিকা রাখে যুদ্ধের মৌলিক দিকে।

মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনা - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালে পাকিস্তান শাসনামল সরকার বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সৃষ্টি করতে নিশ্চিত হয়েছিল। 1971 সালে পাকিস্তান শাসনামলে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধ সৃষ্টি করে। পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের তাদের রাজত্ব স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল।

বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভর অর্জন করতে চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তান সরকার যে ছিল বাংলাদেশ দখল করতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ভাষা স্থাপন করতে বাংলাদেশের পাকিস্তানের সাথে যোগদান করতে তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তি বাড়ির স্থাপন করে, যা প্রথমে বিভিন্ন সেনা সাথে যোগদান করে।

অপেরেশন সার্চলাইট - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ মপয়েন্ট
১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ দিবাগত রাত্রে গণহত্যা চালাই আর এই গণহত্যার নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট। পাকিস্তান সরকার চেয়েছিল বাঙালিকে মুছে দিতে নিশ্চিন্ত করতে এবং ভূমি দখল করতে। 1971 সালে 25 শে মার্চ এই রাতে তারা ঘুমের মধ্যেই বাঙালি কে অনেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। অনেক মানুষ শহীদ হয়েছিল এই দিবাগত রাত্রে বর্তমানে ইতিহাসের পাতায় এই হত্যাকাণ্ডের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট।

অনেকেই এই রাত থেকে কালো রাত বলেও চেনে কাল রাত বলেও এই দিনকে অব্যাহত করা হয়েছিল। এই রাতে আনুমানিক অর্থ লক্ষ্য মানুষ মারা গিয়েছিল অর্ধ লক্ষ মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ এই রাতে সেই অপারেশন সার্চলাইট এর মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশের বড় বড় শহরকে দখল করবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামরিক শক্তিকে তারা ধ্বংস করবে বাংলাদেশের জনগণনা বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম এলাকা বাসিন্দাকে হত্যা করবে, তারা চেয়েছিল বাংলার সৈনিক বাংলাদেশ বাংলার পুলিশকে নিরস্ত করতে। তারা আরো চেষ্টা করেছিল এই রাতে মধ্যে অস্ত্র কার রেডিও টেলিভিশন ইত্যাদি সম্পন্ন কিছু তাদের দখলে আনতে।

পাকিস্তানের উত্তাপ - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
1947 সাল থেকে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের থেকে বাংলার মানুষের প্রতি অত্যাচার বাংলার দেশে তাদের স্বাধীনতা তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশের তাদের ভাষা প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের তারা তাদের মানচিত্রের যোগ করা বাংলাদেশকে দখল করতে চেয়েছিল বিভিন্নভাবে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলা ভাষা ভাষণ অধিকারপ্রাপ্ত হলেও পাকিস্তান নামক দেশে একত্রিত হলেও তাদের প্রতি সংবিধানে ভৌগোলিক অবস্থান ও সহযোগী ছিল।

পাকিস্তানের এ ধরনের উত্তাপ তিন দিন বেড়েই চলেছিল। পাকিস্তানের এই উত্তাপ চলতে থাকে 1971 সাল পর্যন্ত। আর তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের উত্তাপ কে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।

মুক্তিযুদ্ধের মুহূর্ত - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা 20 পয়েন্ট
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা আরম্ভ হয়েছিল পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করছিল বাংলাদেশ সে দখল করার জন্য। যারা বাংলার জনকথা বলতো যারা বাংলার লড়াই করতো যারা বাংলা ভাষায় কথা বলতো তাদের সবাইকে হত্যা করছিল পাকিস্তান বাহিনী। বাংলার কোটি কোটি মানুষ এই যুদ্ধে তাদের প্রাণ হারিয়েছে দেশের জন্য কোটি কোটি মানুষ জীবন দিয়েছে।

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ঝরার পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর কেউ পারেনি বাংলাদেশ দখল করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে নষ্ট করতে। 1971 সালে বাংলার মানুষ একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনা - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
যুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সাল থেকে। পাকিস্তান বাহিনী বিভিন্ন অপারেশন চালায় বাংলার ভূমি দখল করতে। বাংলার মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে, বাংলাদেশ সামরিক শক্তিকে অকেযোগ করতে পাকিস্তানের বাহিনীর চেয়েছিল তাদের মানচিত্রে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে। পাকিস্তানের বাহিনীর চেয়েছিল বাংলার সমস্ত কিছু দখল করতে।

২৫শে মার্চ রাতের গড়হত্যা অপারেশন সার্চলাইট যেটির নাম দেয়া হয়েছে অনেকেই চেনেন কাল রাত ভোরে। ২৫ শে মার্চ এই রাতে অনেক বাঙালিকে ঘুমের মধ্যেই হত্যা করেছিল গুলি করে। নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ২৫ শে মার্চ এই রাতে। পাকিস্তানের বাহিনীর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে 1971 সাল পর্যন্ত অনেকে অত্যাচার করে বাঙালি জাতির উপর। মুক্তিযুদ্ধের সময় আরো কিছু উল্লেখযোগ্য প্রথম ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৯৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন এবং 1971 সালে মুক্তিযুদ্ধ।

৭১ একাত্তরের নির্বাচন - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লীগ আসন পাই ১৬৭ টি। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নেতৃত্ব করেন। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিচালনা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর তার কন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিচালনা করে। সেই যুদ্ধের পর থেকেই আওয়ামী লীগ লীগ বিজয় হয়ে আসছে বর্তমান যুগ পর্যন্ত আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লীগের কাছে ক্ষমতা থাকার কারণে বাংলাদেশে এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে বাংলার জনগণ।

৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
মিথ্যে মামলায় আটক করে পূর্ব পাকিস্তানের নেতাদের। তাদের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছার ছাত্রসমাজ, কেটে পড়ে তৃপ্ত প্রতিবাদে। ডাকসুর নেতৃত্বে প্রগতিশীল ছাত্রনেতারা এক হয়ে গঠন করে স্টুডেন্ট একশন কমিটি। নেতাদের মধ্যে এবং বাংলার মানুষের মুক্তির অধিকার আদায়ের শুরু হয় ৬৯ এর অভ্যুত্থান।

এতে করে বাংলার মানুষের খুব পরিবর্তন হয় আন্দোলনে আন্দোলন করতে বেরোলে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালাই আন্দোলন থামাতে। সেখানে নিহত হন ছাত্রনেতা আসাদ। আসাদের মৃত্যু সারা গড়ে তোলে সংগ্রামের আগুন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মালাই অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক তার মৃত্যুর সংবাদে লক্ষাধিক জনসভায় ভাষণ দেন আব্দুল মৌলানা ভাসানী বলেন দু মাসের মধ্যে ১১ দফার বাস্তবায়ন এবং সকল রাজবন্দীর মুক্তি না হলে খাজনা টেক্স বন্ধ করে দেয়া হবে।

১৮ই ফেব্রুয়ারী প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হলে ক্ষুদ্র ছাত্র জনগণ ছাত্ররা নেমে আসে রাস্তায় রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। আইয়ুব খান ক্ষমতা তুলে দেন ইয়াহিয়ার হাতে। শুরু হয় ৬৯ এর গণঅভ্যত্ব অনুসত্তরে নির্বাচন। বাঙালিরা অনুভব করে তারা তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবেই তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং তাদের সমস্ত দাবি পূরণ হবেই।

১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে অনুষ্ঠিত করেন ছয় দফা দাবি। উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালীদের সাহিত্য শাসন নিশ্চিত করা। ছয় দফা দাবি শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গঠন। দেশের অভ্যন্তরে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকা। সমগ্র পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থা, কর নির্ধারণের স্বাধীনতা বৈদেশিক ব্যবসার ক্ষেত্রে দুই পাকিস্তানের আলাদা হিসাব। আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন।

ছয় দফা দাবিতে ক্ষিপ্ত পাকিস্তান সরকার। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এর প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের শুরু হয় আন্দোলন। বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ছয় দফা আন্দোলন নিয়ে আসে এক নতুন মোড় যার ফলশ্রুতি অনুসত্তরের গনব্যত্থান এবং তারপর মুক্তিযুদ্ধ।

২৬শে মার্চ - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এই দিনে বাংলাদেশ অর্জন করেছিল স্বাধীনতা। ২৬শে মার্চ এই দিনে গঠন হয়েছিল বাংলাদেশ একটি নতুন রাষ্ট্র। এই দিনে ওরে বাংলার আকাশের লাল সবুজের পতাকা। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলার সন্তানরা এনেছিল বাংলার স্বাধীনতা।

তাদের কারণে আমরা সুস্থ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারছি এই বাংলায় আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি তাদের কারণে। তাদের হাজারো রক্তের বিনিময়ে তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা। সেই বীরশ্রেষ্ঠরা আমাদেরকে উপহার দিয়েছে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড একটি দেশ যার নাম বাংলাদেশ চাঁদের আত্মজীকের মাধ্যমে পেয়েছি আমরা এই স্বাধীনতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসের ২৫ শে মার্চ ছিল একটি গণহত্যার দিন যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে নির্ঘুমভাবে হত্যা করে নিদ্রা অবস্থায় বাঙ্গালীদের কে এর ফলেই ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের পর মিছিল স্বাধীনতা। পঁচিশে মার্চ রাতে সেই অভিযানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাঙালীকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ। এই রাতে বহু বাঙ্গালীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল এবং আমরা এদিন থেকেই আমাদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম এই দিনেই আমরা নতুন একটি রাষ্ট্র পেয়েছিলাম এই দিনে শুরু হয়েছিল আমাদের নতুন জীবন।

৭ই মার্চের ভাষণ - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা 20 পয়েন্ট
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির মনের শক্তি জাগে। ১৯৭১ সালেই সাথে মার্চের এই ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে এই ৭ই মার্চের এই বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির মানুষ জেগে ওঠে বাঙালির মানুষ একত্রিত হয়।

সাথে মার্চের এই ভাষণের ধারা উৎপত্তি হয় যুদ্ধ করতে বাংলার মানুষ একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। ব বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন ১৮ মিনিট। আর এই ১৮ মিনিটে বাঙালির জন্য প্রত্যেকটা কথা ছিল। এই 18 মিনিটে বাংলাদেশের মানুষের বুকে সাহস এনে দিয়েছিল।

১৯৭১ সালে এই ১০ই এপ্রিল - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় নতুন সরকার যা মুজিবনগর সরকারের নামে গঠিত। বাংলাদেশ ১০ই এপ্রিল প্রথম সরকার গঠিত হয় এবং এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এই দিনে বাংলা একটি নতুন পরিচিত লাভ করে। ১০ই এপ্রিলে এই দিনে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কে নিয়ে নতুন সরকার গঠন করে। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সর্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করে অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।


মুক্তিযুদ্ধের পরিণাম - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা লাভ করার জন্য বাবা ভাই বোনরা রক্ত দিয়েছে আমাদের দেশের জন্য এবং আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করেছে। তাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছি। ২৫শে মার্চ ছিল কাল রাতে এই রাত্রে ঘুমন্ত অবস্থায় অনেকে বাঙালিদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এবং ২৬শে মার্চ প্রথম পড়েই বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধের অধিকার - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের জন্য আক্রমনাত্মক ছিল। তাদের অধিকার ছিল স্বাধীনভাবে বাঁচার তাদের অধিকাংশ ছিল বাংলাদেশে তাদের বাংলা ভাষা বলার তারা যুদ্ধ করে সেই অধিকার ছিনিয়ে দিয়েছে। কারণ সেই সময় পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশকে দখল করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তারা পারেনি বাঙালির অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে পেয়েছে তারা তাদের অধিকার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পৌরসভা শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক সেবা দানের দিকে আগ্রহ হয়ে একটি নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়।


সমাপ্তি
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ অর্জন করে স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে অনেক বা ভাই বোন তাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী বাঙালির উপর চরমভাবে নির্যাতন করতো। তারা সেই নির্যাতন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে। আর বিজয় লাভ করতে পেরেছে বাংলাদেশ আর এই বিজয় লাভের পিছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক ভালো নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পেরেছি. তার নেতৃত্বের কারণে আমরা এখন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারছি তার নেতৃত্ব কারণে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

আমাদের শেষ কথা - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্টে সম্পর্কে। এবং উপরোক্ত যে তথ্যগুলো আমরা বলেছি সব তথ্য গুলো ইউনিক আপনি যদি উপরোক্ত তথ্যগুলো ব্যবহার করেন কোন পরীক্ষায় কিংবা যেকোনো প্রতিযোগিতা তাহলে আপনি খুব সহজেই প্রথম স্থান নিতে পারবেন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমার প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url