ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার - ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তি

প্রিয় পাঠক আপনি কি ক্ষুদ্রঋণ কত প্রকার বা ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? প্রিয় পাঠক আপনি যদি ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার বা ক্ষুদ্রঋণ কিস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই নিবন্ধন এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি ক্ষুদ্রঋণ কত প্রকার এবং ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তি সম্পর্কে।ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকারতাই আপনি যদি ক্ষুদ্রঋণ কিস্তি বা ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার ইত্যাদি সকল তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

সূচিপত্রঃ ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার - ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তি

ইভিভিটিভি

ব্যাংক ঋণের বৈশিষ্ট্য/শর্ত

প্রথমেই আমরা জানবো ব্যাংক ঋণের বৈশিষ্ট্য/শর্ত, ব্যাংক ঋণের কতগুলো লক্ষনীয় দিক বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ব্যাংক ঋণের বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নরূপঃ

ঋণের ধারণঃ ব্যাংকের ঋণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে; যথা- নগদে, জামাতিরিক্ত ঋণ, চাহিবা মাত্র দেয় ঋণ, ক্ষুদ্র ঋণ।

পরিশোধ কালঃ ব্যাংকের ঋণ সাধারণত স্বল্পমেয়াদি অর্থাৎ এক বছরের মধ্যেই পরিশোধ করতে হয়।

জামানতঃ ব্যাংক ঋন জামানত যুক্ত বা জামানতহীন হতে পারে। সাধারণত ব্যক্তিগত সম্পত্তি, কার কারখানা, দালানকোঠা ও জমি, ঋণপত্র ইত্যাদি জামানত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্যাংক ঋণের খরচঃ গৃহীত ঋণের জন্য প্রদত্ত ঋণী হলো ব্যাংক ঋণের খরচ। ব্যাংক ঋণ দেয়ার সময় সুদ কেটে বাকি অর্থ প্রদান কিংবা ঋণ পরিষদের সময় সুদ ও আসল গ্রহণ করতে পারে।


কম অর্থ বিনিয়োগ করে এমন ঋণ গীতাঃ ব্যাংক থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করে তারা খুচরা ও পাইকারি ব্যবস্থায়ী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন।

সুদের হারঃ ব্যাংক সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে বলে এর সুদের হার অপেক্ষাকৃত কম হয়।
আনুষ্ঠানিকতাঃ ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ঋণ গৃহীতাকে বেশি আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। এই জন্য অল্প সময়ের এই ঋণ পাওয়া যায়।

ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার

আপনাদের প্রত্যেকেরই উচিত ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার হয়ে থাকেন। তাহলে যদি ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনার জানা প্রয়োজন কত প্রকার। কোন বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কিংবা যেকোনো কারণে দরিদ্রদের অল্প পরিমান ঋণ দেওয়ার কেউ আমরা ক্ষুদ্রঋণ বলতে বুঝি।

আমরা জানি ক্ষুদ্রঋণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমনঃ স্বল্প আকারের ঋণ. গরীবদের জন্য ঋণ. যেমন ছাড়ালে. আত্মকর্মস্থানের জন্য ব্যবহৃত ঋণ. সাংগঠনিক প্রেসার বা চাপ সৃষ্টির জন্য ঋণ।

ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তি

ক্ষুদ্র ঋণ কিস্তিগুলো সাধারণত সপ্তাহিক হয়ে থাকে। ক্ষুদ্রঋণ যেমন আপনি দশ থেকে বিশ হাজার কিংবা ত্রিশ হাজার টাকা যদি লোন নিয়ে থাকেন কোন কারণবশত। সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা কিস্তি প্রদান করতে হতে পারে পতি সপ্তাহে। ক্ষুদ্রঋণ কিস্তিগুলো সাধারণত সাপ্তাহিক হয়ে থাকে।

প্রতি সপ্তাহে তাদেরকে তাদের নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করতে হয়। তবে এটি এনজিওর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে পারে। কারণ এনজিওয়র সব নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে তাদের তাদের নিয়ম অনুযায়ী এই কিস্তি দিতে হয়।

ক্ষুদ্রঋণ এর সুবিধা

বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও দরিদ্র দেশের ছোটখাটো কর্ম প্রত্যেকের ক্ষেত্রে অর্থায়নের উৎস হিসেবে ক্ষুদ্রঋণের যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপঃ

জামানত ছাড়া ঋণঃ ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম সম্পদ হীন ব্যক্তিরা ও চামচ ছাড়াই ঋণ লাভের সুযোগ পায়।

ক্ষুদ্র ও কর্ম কর্তৃক ঋণঃ ক্ষুদ্র কর্ম উদ্যোগ গল্প অর্থের প্রয়োজন পড়লে এনজিও গুলো ঋণ দ্বারা মেটানো যায়।

সহজে সংগ্রহঃ এই ঋণ গ্রহণের কোন অনুষ্ঠানিকতা পালনের প্রয়োজন পড়ে না। তাই সহজেই সংগ্রহ করা যায়।


ক্ষুদ্র তদারকির ব্যবস্থাঃ এই ঋণে তদারকি ব্যবস্থা থাকে বলে অনুৎপানশীলতা কাজে ব্যবহৃত হয় না।\

সুদখোর গ্রাম্য মহাজনদের খপ্পর থেকে রক্ষাঃ গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র লোকেদের কোন কাজের জন্য অর্থায়নের প্রয়োজন পড়লে তা সহজেই প্রাতুষ্ঠানিক ক্ষুদ্রঋণ সংগ্রহ করতে পারে। ফলে তারা গ্রাম্য সুদখোর মহাজন্দের কবর থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম ক্ষুদ্র ঋণ কত প্রকার ক্ষুদ্রঋণের বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ বিষয় যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আমরা প্রতিদিন এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে থাকি আপনি যদি এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিদিন পেতে চান সে ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন। আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url